বরাবরে,
চেয়ারম্যান
৭নং ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ
গ্রাম আদালত
সদর, কক্সবাজার।
বিষয়ঃ- সুবিচার পাওয়ার আবেদন।
১ম পক্ষঃ- হামিদা বেগম, স্বামী- লুকমান হাকিম, পিতা-তাহের আলম ভূইয়া, সং- ঘোনাপাড়া, ভারুয়াখালী,কক্সবাজার সদর।
---------------------------------বাদীনি।
বনাম
২য় পক্ষঃ- ১। আরমান হোসেন প্রকাশ মোহাম্মদ হোসেন, পিতা- নজির আহমদ, ২। ফরমোজা বেগম, স্বামী- নজির আহমদ, সর্বসাং- চৌচুলামুরা, ইউনিয়ন- ভারুয়াখালী, উপজেলা ও জেলা- কক্সবাজার।
-----------------------------বিবাদীগণ।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি ঘোনা পাড়া, ভারুয়াখালী,কক্সবাজার সদর এর শান্ত প্রিয়, নিরীহ ও স্থায়ী বাসিন্দা এবং প্রচলিত আইনের পতি অত্যান্ত শ্রদ্ধাশীল। পক্ষান্তরে বিবাদীগণ অসামাজিক, প্রতারক এবং দেশের প্রচলিত আইন কানুন কিছুই মানেনা। বিগত প্রায় ১০ বছর পূর্বে আমার সহিত ১নং বিবাদী ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক রেজিঃ কাবিন নামা মূলে ৫০,০০০/= (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মুহরণা ধার্য্যে ১৫,০০০/= নগদ ও ৩৫০০০/= টাকা অবশিষ্ট রাখিয়া বিবাহ হয়। বিবাহের পর সংসার সূখের হইলে তাহার ঔরষে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। উক্ত সন্তান জন্মের এক বছর পর ০১নং বিবাদী আমার স্বামী জীবিকা নির্বাহের উদেশ্যে সৌদি আরব যায়। এর পর হইতে আমার সাথে যোগাযোগ রাখত। বিবাদী আমার স্বামী ১৩/০২/২০১৪ইং তারিখ বিদেশ থেকে আসিয়া আমার সাথে রাত্রী যাপন করে এবং নিয়মিত আমার সাথে যোগযোগ ছিল। এখন আমি দুই মাসের অন্তসত্তা। হঠাৎ একদিন খবর পাই আমার স্বামী নাকি অন্য একজন কে বিবাহ করছে। সে কথা শুনিয়া আমার শ্বাশুর বাড়ী স্বামী খুজে আসলে ২নং বিবাদীনি আমার শ্বাশুড়ী আমাকে বলে যে দুই মাস পরে তোমাকে খবর দিয়ে আমার বাড়ীতে নিয়ে আসব। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে ২নং বিবাদীর সহযোগীতায় আমার স্বামী ১নং বিবাদী বাড়ীতে আর একটা বউ নিয়া আসে। আমার আট বছরের কন্যা শিশুকে তাহার পিতার কাছে দেওয়ার জন্য আসিলে আমার শ্বাশুড়ী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমাদের তাড়াইয়া দেয়। আমার মেয়েকে আমার স্বামী, শ্বাশুড়ী ও দ্বিতীয় স্ত্রী ভয় দেখিয়ে বলেন এই বাড়ীতে থাকলে তোকে জানে মেরে ফেলবো। আমার মেয়ে আমার শ্বাশুড় বাড়ীতে ভয়ে থাকতে চাইনা। আমার স্বামী ১নং বিবাদী আমাকে মোবাইলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমি আর কোন উপায় না পেয়ে সুবিচারের স্বার্থে আপনার নিকট শরনাপন্ন হলাম।
অতএব মহোদয় প্রার্থনা যে, বর্ণিত বিষয়ের আলোকে বিবেচনা পূর্বক সুবিচার করিয়া দেওয়ার জন্য মহোদয়ের মর্জি কামনা করছি।
ইতি তাং- ১৩/০৩/২০১৮ইং
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস